রকমারিই কি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের অ্যামাজন? এ প্রশ্নের উত্তর হ্যা বা না উভয় ভাবেই দেয়া যায়। দুটোর পেছনে অনেক যুক্তি খাড়া করা যাবে।
রকমারি ও অ্যামাজনের এক বিশেষ জায়গায় মিল আছে। সেটা হল এই দুই কোম্পানীই তাদের ব্যবসা শুরু করছে, অনলাইনে বই বিক্রির মাধ্যমে।
বাংলাদেশের অ্যামাজন হতে বহু কোম্পানী ছুটোছুটি করছে। যার মধ্যে দারাজ অন্যতম। মাঝে ইভ্যালি দৌড়াদৌড়ি করে এখন চিটপটাং দিয়ে শুয়ে গেছে।
রকমারি এসব দিক দিয়ে একটু ভিন্ন রকম। তাদের মূল ব্যবসা এখনও বইয়ে সীমাবদ্ধ আছে। ইদানীং কালে রকমারি বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গ্যাজেট, টি-শার্ট ও নানা সামগ্রী বিক্রি শুরু করেছে।
রকমারির রয়েছে এক বিশাল সাইজের কাস্টমার বেজ, যেটা ইভ্যালির মত অফারের কাস্টমার না। ফলে নতুন কিছু নিয়ে কাস্টমার দের কাছে পৌছানো রকমারির কাছে অনেক সহজ।
রকমারির প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হাসান সোহাগকে হয়তো আপনারা অনেকে চেনেন। তিনি একজন দূরদর্শী মানুষ। তাঁর সব গুলো প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান। যেমনঃ রকমারি, উদ্ভাস-উন্মেষ, প্রহরী, উত্তরণ, পাই ল্যাবস, বিজ্ঞান বাক্স, অন্যরকম ওয়েবসার্ভিস ইত্যাদি।
অন্যান্য ই-কমার্সের তুলনায় রকমারি এগিয়ে যাচ্ছে অনেকটা স্ট্যান্ডার্ড উপায়ে। এইখানেই রকমারি ব্যতিক্রম। এই ধারা অব্যাহত থাকলে হয়তো রকমারিই হয়ে উঠবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের অ্যামাজন।
আরও পড়ুন